কাঙালের ঘর - প্রসেনজিৎ রায়‘র রাজবংশী গল্প Kangaler ghor - Pransenjit roy's Rajbangshi story

কাঙালের ঘর 
প্রসেনজিৎ রায় 

পাহাড়ের কোলাত শিল আর গছ - গাছালি ছাড়া টুকুন ধানােয়ারের আটকুড়ানি কায় শুনে ? সাতদিন হাতে উয়ার জ্বর , ওষুধ কিনিবার পাইসা দূরত থাউক , আদা কেজি আটা কিনিবার উপায় নাই । আলির বনুয়া কচু , ফারাসের আলু মানে খাওয়া শ্যাষ , কোনােমতনে চাপাতির ফুল খায়া বত্তিয়া আছে । জুর যে বাড়ি চলিছে , ঘর হাতে বিরিবার না পাইলে চাপাতির ফুল জুটিবে না । জ্বরের তাড়নায় উঃ আঃ করিয়া কাতরেবার ধরিছে , ঝাপ - ক্যাতা নাই যে উড়িবে । ঠ্যাং দুইটা গােটো করি কোকোড় সােকোড় হয়া আছে । জুরের কাপুনিতে কোনােমতে হাত - ঠ্যাংলা ঝাটার পাটার করে , একগিলাস জল দিবার কাঙো নাই , ছয় মাস হইছে , বাপ - মাও সগায় ছাড়ি চলি গেইছে । যেমন করি উয়ার বাপ - মাও চলি গেইছে ঐ মতন স্বার্থপর বাপ - মাও পিথিবীটাত একটা কলঙ্কর সিজন করিছে । টুকুনের মাও চন্দ্রকান্ত প্রধানী নামে বস্তির এক হালুয়া মরদের ওটে চলি গেইছে । উয়ার বাপ ফিলিপ ধানােয়ার সুজাতা পাহান্নি নামে একটা ছত্রদানি বেটিছাওয়াক নিয়া সংসার পাতিছে , সংসারটা ছানবান করিবার আগােত টুকুনের কতা একবারও উমার নিঠুর মনত পড়ে নাই ! টুকুনের বাপ ফিলিপ ধানােয়ার - টুকুনের মাক শাও দিবার কতা খালি ভুলে নাই । শাও দিয়ায় ছাড়িছে , জলনী তুই মরিবু , দেহাটা অচল হইলে তােক কাহাে পুছিবে না ’ । যাই হউক মাওটা না হয় অনেক দূর ছাড়ি চলি গেইছে , কিন্তুক বাপটা তাে কাইন্টাতে আছিলাে , তা ব্যাটার একেনা উদিস করিবার গরজ মনে করে নাই ! দূরত গেইলে মাওটা অবশ্য ব্যাটার দরদ বুজিছে , তারে বাদে উমার বাগানের কাজটা টুকুনের নামে নেখি দিয়া গেইচে । বাগানের কামলা টুকুনের বাপটা যে না - খায়া না - দায়া হাজ্জ নাগিছে , বুকের বাতা কয়খুনা আর নিষ্করুটা খ্যাশ খ্যাশ করি বিরাইচে । টুকুনের বাপ ফিলিপ ধানােয়ারের নাখান শও ধরা কামলার একে দশা । যুগের সতে তাল মিলিয়া মানষি যেলা আধুনিতার হাওয়াত আগেয়া যায় , সেই সময় বাগানের বুর্জুয়া মালিক জোর করিয়া আদিম মানষির নাখান রাখিবার চায় , সােজা সরল সততার কোনাে মূল্য দিবার চায় না , মালিক আর তার পাইক্ষের মানষি ম্যানেজার হাফ প্যান্ট পিন্দিয়া কামলার আগােত খাড় হয়া সাহেবি চাইল চলেবার ভাল পায় , কামলারঘরের সুবিধা - অসুবিধা বুজিবার গরজ মনে করে , বড় ভাইয়ের সংসারােত ছােটো ভাই রাখিবার গেইলে তার মানসম্মান বজায় রাখির নাগে , না হইলে ছােটো ভাই অপমান মনে করিয়া গােসা হবে , দাদার সংসারােত আর থাকিবার দরকার মনে করিবে না , আপন ভাবিয়া কাজকর্মত মন দিবে না , বাগানের কামলাগিলাক ছােটো ভাইয়ের নাখান । দেখিবার না নাগে কমকরি উমাক পেটের ভাত , কাপড়চোপড় , থাকির জাগা , চেকেস্যা , শিক্ষা আর মানমর্যাদা দেওয়া দরকার , যাতে উমুরা আপন ভাবিয়া ভালােবাসার সতে কাজ করিবার পারে । ঐ নাখান সুযুগ - সুবিধা পাওয়া দূরত থাউক , কাঙলা পাড়া চাপাতি বাগানের সউগ কামলারে দেহালাত অসুকে - বিসুকে ভাসা বান্দিছে । কারাে প্যাট ফুলা , হাত - ঠ্যাং ফুলা , কারাে মুখখান ঠুসঠুসা নাগা , কারাে বুকত পানি - নাগা অসুক ধরিচে । বিনা চিকিস্যায় কত মানষি মরিচে , তার হিসাব নিকাশ কায় দিবে ? কায় এইল্লা নবুনাঞ্চনা ঘুচাবে ? বাগানের মানষি মরার খবর ইউনিয়নের নেতা গিলার ভয়ত কাঙো কয় । ডনগিলা নিজের স্বাথ্যে কায়দা করি বাগান মালিকেব হয়া কাজ করে । কামলা গিলাক নিয়া খালি মানষিক দ্যাখা মিছিল মিটিং করে । কামলার দাবি নিয়া মিচ্চাং আন্দোলন করিয়া মালিকোক ভয় দেখায় , তলে তলে মালিকেরটে টাকা নিয়া কামলা গিলাক ফাউকশালি বুজ দেয় । কামলালায় বা আর কি করিবে ! শিক্ষ - দীক্ষা নাই , নিজেকে চেতন করির পায় নাই , কাজেই উমরা যে শােষন হবার ধরিছে সেই বােধটা উমার ইবজে নাই । এই নিবােদা কামলার ঘর কাহহা যেলা মদ বেচায় সেলাও তােলা না দিলে ডনগিলা মদের হাড়ি ন্যাদেয়া ফেলে দেয় । কোন নিপুত্রী বেটিছাওয়ার সয় - সম্পত্তি থাকিলেও বিপদ ? ডাইনি কয়া প্রচার চালেয়া উয়াক মারিয়া সম্পদ ভােগ দখল করে । ধরা যাউক তুলসীর গছত কাহাে । জলঢালিয়া পুজা দিবার ধরিচে , ডন ঔটাকে ডাইনি কয়া তুলি ধরিবে , মানষিক বুঝাবে উয়ায় ডাইনি , য়াকে দেখিবে তারে বলে অসুক হবে । কুসংস্কার বিশ্বাস করিয়া বাগানিয়া মানষি মিছা প্রচারের ডাইনি নিধন করে । শােষন করিয়া বিল্ডিং বানেবার জইন্যে ওই অত্যাচারের পাল্লাত অনেকলা মানষি । সম্পদ বহুদিন হাতে অপাতে যাছে । প্রতিবাদ করিবার কাহাে নাই । এক দিন ট্রেড ইউনিয়নের নেতালা প্রশাসনেব সতে বসিয়া ঠিক করিছে কাঙালা পাড়া বন হওয়া চাপাতি বাগান খান মালিকর বদলে আপাততঃ স্বয়ম্ভর গােষ্ঠীর সদস্যা গিলায় চালাবে । অইন্য কামলার মােতাে টুকুনও ঐখবর পাইচে , দূর্গা পূজার পনেরাে দিন আগােত বাগানের কাজ চলু হয় । গেলাে , জুরত নাহােল টুকুনও মনে মনে ভাবে দেহাটা ভাল্ থাকিলে কাজ করা গেইলেক হয় , কাজের মজুরা তুলিয়া তুলবর হাটত খরচা করা স্বােয়াত মিটিলেক হয় , কিন্তুক ঝ্যালটামারা জুর যে ছাড়েছেন ! দূর্গা পূজার আনন্দটা মাটিহয়া যাবে , তারে বাদে টুকুনের মনটা বেজার হইছে । অনাহার আর অনাহা , কত খেল্টোংয়া প্যাট দেখিবেন ! ঐ দশা শবে তাে ! মাসে পর মাস যে অনাহার , খালি কোনােমমাতানে বাঁচিয়া থাকিবার নাড়াই চলিতেছে , এতাে নাবুনাচনা চলিছে তাও মালিক বাগানিয়ালার উদিস করি আইসে নাই , মনােত ধিকি ধিকি আগুন জ্বলে , মনের গোঁসা বারিতে থাকে । এই সমায় ভগবানেব প্যাটে দেওয়া দেবতার মােত একদল সেচ্ছাসেবী ঔষধ পাতি খাবার দাবার নিয়া কাক্লা পাড়া চা পাতি বাগানােত আইচ্চে । উমার সেবাৎ কুন ধানােয়ারের সােদে আরাে ম্যালা মানসি ভাল হইছে । ইয়াতে বুঝা যায় দুনিয়াত সগুনি আরাে সাধু মানষিলা বিপদ হতে মানষিক বাঁচায় । বেইশ কিছু দিন বাগানের কাজ ভালে চলিছে । তার পর ফির নানানটা গােলােযােগে আরও বাগান বন্ হইছে । সেই সমায় মালিক আরও বাগানােত নয়া ম্যানেজার প্যাটে দিচে । ইউনিয়ানের নেতালাক নিয়া ম্যানেজার বাগান চালু করিবার তানে মিটিং করিচে । এইল্লা কাথা শুনিয়া কামলার ঘর সগায় ইউনিয়ান আর ম্যানেজারে উপরােত রাগ হয়া গেলাে । ২২ বছরিয়া টুকুন জুর হাতে ভাল হয়া দেহাটার জোর আনিচে , এমনিতে সাদাসিদা চ্যাংরা কিন্তুক এমন জেদী একবার জেদ চাপিলে সামলা বড় দায় , যেটা করিবার চাবে করিবেকে । উয়ায় ইউনিয়নের কথা বাদ দিয়া কামলা গিলক একটে করিছে , মিটিং করিয়া ঠিক করিছে সগায় মিলি ম্যানেজারের বাংলাে ঘিরাও করিবে দরকার হলে হুশিয়ার করি দিবে । মানষির খাইদ্য , থাকার জাগা , মান ময্যাদা বজায় থুবার আন্দোলন তৈয়ার করিছে টুকুন । নিলাঞ্জনা ফারাসের রেঞ্জার অপিসের কাইন্টাতে কাঙলা পাড়া চা - বাগান খান বুলিয়া ওটেকেনা পারাসিয়া জন্তুলার বেজায় উৎপাত । বাঘ আর বনুয়া শুয়াের কত মানষিক যে মারিচে তার ঠিক নাই । জঙরে বাঘ আসিয়া চাপাতি বাগানােত ঘাপটিমারি থাকে । একদিন চাপাতি গছের পাতা ছিরিবার ভ্যালা । একটা ন্যাকড়া বাঘ একজনকাক ধরিয়া গদ্ধোনা মােচড়ে কইলজাখান ছিরিয়া খাইছে । আছুরিয়া দেহাটাক ছানবান করিচে । এই খবর রটিয়া গেইল , খবর শুনিয়া টুকুন ধানােয়ারেব তাও উঠিছে । বাগানের সাদাসিদা মানষিলাও ক্ষেপিয়া গেইচে । তার পাছােত ম্যানেজারের বাংলাে ঘিরাও হইছে , ম্যানেজার কামলার ঘরের রাগ দেখিয়া ঘরের দুবােরােত খিলা নাগেয়া ভিতর নিঃসপ্তা হয়া বসিয়া ছিলাে , বায়রাত বহু মানষির চিকরা চিকরি অসৈয্য কিন্তুক করিবার কোনােয় নাই , কামলার ঘর যে একজোট হইচে । সেদিনের কামলার ঘরের পতিবারে গিজ্জন গিলা হইল- ' কামলা গিলা রক্ত জল করয়া হকেরটা । খায় , তাও ঠিকমােতাে পায় না , বাগানােত কাজ করিয়া খাবে তাও নাই জীবনের দাম , একদিন জংলি শুয়ােব ঢিসিয়া মারে , তায় একদিন বাঘের মাংস খুবলি খায়া মারে । রাগের ঠ্যালাত কামলার ঘর বাংলাে ঘিরা দেওয়াল খান ভঙি ফেলাইচে , তার পাচত হুড়মুড় থুড়মুড় করিয়া বাংলাের বগল যায়াদুইখান খড়কী ভাঙি ফেলাইচে । লােহার রডের জইন্যে ভিতিরা ঢুকির না পায়া ম্যানেজার অঘাের চ্যাটারর্জিক মারিবার তানে বড় বড় বাঁশ খড়কি দিয়া ঢুকি দিয়া ঘােটঘােটাইছে । কাঁহাে কাঁহাে বাংলাে র সাজে থােওয়া ফুলের বাগান ছিরি উকরি বিনাশ করি ফেলাইছে । এইসমায় মযানেজারের দালাল ইউনিয়নের নেতা বুন্দেশ্বর লােহার একটা নয়া জামা নিজের হাতে ছিড়িয়া , ঐ জামাটাক উড়িয়া মাটিত গড়াগড়ি করিয়া , তার পাছােত বাংলাের ওটে দউড়ি আসিয়া টুকুনোেক কইচে- ম্যানেজার বাবুর কোনােয় দোষ নাই , তামান দোষ নীলাঞ্জনা ফারাসের রেঞ্জার অপিসার ভজহরি মুখার্জীর । হামার বড় সাহেব জংলী শুয়াের আর বাঘের অত্যাচার , বন্ধ করিবার জইন্যে রেঞ্জার অফিসারের সতে ম্যালা বৈঠক কইচ্চে , কিন্তুক রেঞ্জার বাবু কোনাে ব্যবস্থা নেয় নই , বড় সাহেব মােক রেঞ্জারের ওটে যাবার কইচোলাে বুলিয়া গেচুং , কিন্তুক এইল্লা সমস্যার কতা কবার যায়া হ্যার দেখ মাের কি অবসহারিছে , জামা কাপড় ছিড়ি দিচে , মাটিত ফ্যালে ন্যাদাইচে । এইল্লা কথা শুনিয়া কমলা ঘর ম্যানজারক বাদ দিয়া গিটগিটে ফারাস মুখে দৈড়ি গেলাে । ব্যাচারা রেঞ্জা অপিসারের কোনয় দোষ নাই । চব্বিশ পরগনার সুন্দর বন হাতে মাত্র ছয় মাস হইচে বদলি হবার । উত্তরবঙ্গের সাগাই আদর ভালে নাইকচে , উমার একেনা বেটি -নাম কশিবা । সমায় পাইলে বাপের সােদে বাড়ায় । জঙোলােত পকিলা কাঁন্দে ছাওয়া খিল খিল্ করিয়া হাসে । বনুষটা গুণবতী বােয়মির করিবার তানে নিজে আন্দিবারি খােয়ায় , একজন ভারতীয় নরীর কৃষ্টিগতদিক হাতেয্যামন হয় ঠিক ত্যামনি হইচে রেঞ্জার ঘরনী পারুল বালা । সংসারের কাজ সারিয়া স্বনির্ভর গােষ্ঠীর হাতের কাজের দোকানের কাজত সহযােগীতা করে এইবাদে ওই এলাকাত উমার ভালে নাম । ভজহরি বাবু হাটবাজার সারিয়া ফারাসের দাতির বাংলাের বগােললাতে আইসে , তর পাছােত গেট খান খুলিয়া য্যালা ঢুকিবে হ্যান সময় হইহল্লা শুনিয়া পাছপাকে ঘুরিয়া দ্যাখে হই হই করিয়া বাংলাের পাকে একদল মানষি আসিবার ধইরচে , মানষিলা বগােল আসিলে বুজিবা পইছে যে উমারে নাম ধরিয়া মানসিলা যা তা গাইলা গাইলি নাগাইচে । সৎ সাহস থাকিলে যা হয় ! ভজহরি বাবু পুছ করিছে – “ তােমারল্লার কি হইচে- মােক খুলি কও ? যা হউক একটা বিহিত করা যাবে । কামলা গিলা হুল্লা কথা না শুনে কারন ইউনিয়নের নেতা উমার কানােত ঢুকি দিচে জন্তু জানােয়ারের অইত্যাচারের তানে রেঞ্জার কোনই ব্যবসহা নেয় নাই , রেঞ্জার এইন্না চক্রান্তের কথা কিছুই জানেনা , ব্যাপারটা ভাল করিয়া জানিবার আগতে অভাবি কামলার ঘর উমাক গিস্যি ধরিচে , একটা খুটার ডুমের উপর মাথাটা থােবগেয়া এ্যাকেবারে আদামারা করিয়া ফ্যালাইছে । পারুল বালা আর বাচ্চাছাওয়া কশিবার কিছুই করির উপায় ছিলাে না । জঙলের বগলের বাগানিয়ার ঘরের কাহাে কাহােজংলী মনের চিন দিচে । বিবেচনা বােধ আইসে নাই । মনের ব্যাগে যে ক্ষতি করিছে , না বুঝিয়ায় করিচে সইত্যটাক না যাচাই করিয়ায় , যে দুঃখ দিছে তা ভুলিবার মােতাে না হয় , বাচ্চা বেটি আর পারুল বালা কান্দিয়া ভাসাইচে । উমার চখর জল মাটি খুরিয়া গােল্ডাে করিছে । স্বয়ম্বর দলের বেটিছাওয়ালার পারুল দেবীর নগােদ ছিলাে।নাহলােক করি গােস্বামীরজাহানটা বাঁচাইতে পারুল বালা সহযােগিতা পাইচে । নিরাকার ভগবানের উপর উমুরা বিশ্বোস হারাইচেলাে , কিন্তুক মানষি জনের ভগবান রুপে সেবার উপর বিশ্বোস হারায় নাই , কারণ স্বয়ম্ভর দলের সেবাত উমার স্বােয়ামীর জীবন বাচিচে । উমার মতে নানান ধরণের মানবিক চিনা বড়াে দায় । মনােত পরিবার ধইচ্চোলাে মাও বাপােক । বাচ্চাভ্যালাত মাওয়ে উয়াক শামুকের কুসুম দিয়া ভাত খােয়াইচে । গােটাল গােটাল মুরগীর ডিমা খােয়াইচে । যাই হােক সগার আগােত স্বয়ম্ভর দল পুলিশােক খবাের দিচে । পুলিশ আসিয়া কয়জন কামলাক ধরিছে , টুনটাও ধরা পরিলেক , উয়ায় ভাবিলেক ‘ টালির ঘরটা পরিয়া রবে , মুরগী দুইটা টালাে থাকে , ঘত এককেজি চাল আছে খাবার কাহাে নাই , এই কথালা টুকুন ভাবিতে না ভাবিতে ব্যাটার ডাহাত টুকুনের বাপ দৈড়ি আইচ্চে । ব্যাটার খোজে অনেক দুরাই থাকি মাও খিরা ধরি আইচ্চে । তার পাছােত ব্যাটার কিত্তী দাখিয়া ধুলাত গড়াগড়িদিয়া কান্দিছে , টুকুন পুলিশের গাড়িত চড়িবার আগােত একবার বাপের ভিত্তি দ্যাখে , একবার মাটি মা আর একবার উবজন দ্যাওয়া মাও জননীর ভিত্তি জুল জুল করিয়া দ্যাখে ।

Post a Comment

Previous Post Next Post