কালা ভােন্দার টাড়ুয়া - শ্রী নিপুছা প্রামাণিকের রাজবংশী গল্প Kala Vondar Taruya - Shree Nipucha Pramanik's Rajbangshi story

কালা ভােন্দার টাড়ুয়া 
শ্রী নিপুছা প্রামাণিক 

শেরাল্লী চাচাক মুই দেখােং । দেখােং , হামার বাড়ির পুবপাখের ডেগরটা দিয়া রায় দিনে কুত্তিভানি যায় । নুচুরা - ছ্যাচেড়া নােক না হয়— ডাখালিফাটা মাহান উএয় । চ্যাহেরাখান দেখিলে পিলাই কোনাকুনি হয় । কালা কিচকিচা ছােবা খুটার মতন দেহা , ছয় ফুটের উপুরা ঢাঙা । বামলা । মাছের শুকটার নাকান চিপচাপালি বসি খাওয়া দেহাটার উপুরা পরকাণ্ড মাথাটা তৎকরি বেমানান নাগে । তাম্মার - অঙ্গী ঝাপুড়া চুলিগিলাত কুনােকালে তেল পড়িচে বুলি ঠাউরা না যায় । মুখের উপুরা মাছরাঙা পখীব ঠোটের নাকান একটা নাক , তারাে ওপাখে ওড় - ফুলের নাকান চুয়ানাল চখু দুইটা দেখিলে হ্যানাে মরদ নাই যার হিয়া কাপি না ওঠে । খালি চিকচিকা ডালিমপাটি দাতের হাসি দেখিলে খানিক থিত আইসে এইনা । পিন্দনােত চকর - বকর তহবন , মইলা দাগিল হাটুয়াত পরা পীরান , ধেনুক ভানজি টায়ারের ছেণ্ডেল , ঘাড়ত একটা খাকি গাঠি দেওয়া কাপেড়ার ব্যাগ ভনভন করি হাটি যায় বস আন্দাজ করির উপায় নাই উয়ার । পুছিলেকালে কয় , ধেইত্তেরিকা ভালে তােক বাপােই , ওলা কি আর মালুম আছে তে ! ওই— , ওই , ওই , মহারাজ সাইবের ( কোচরাজা জগদ্দীপেন্দ্র নারায়ণ ) উপতনের সমাই হ্যা , -হ্যা সেই সনে পহিলা সাদি হইছে মাের । গাণ্ডী মাত্তার ( গান্ধীজী ) রামদোলােত কত বিটিশ খ্যাদা মিছিল কোন্নি বাপােই ! আজিকালিকার কাথা এগিলান্ ? শুনি টস্ খাও মুই । ফির জড়ি - বটি ঠিসা ঝােলাটা চিপি ধরি হাটন জুড়ে চাচা । মুই চায়া থাকোং .. ক্যাংকরি বাশবাড়ির আওডাল হয় বুড়া ...। একদিনকা নিদারুণ একটা বিপাকত পড়ি ডেকালুং চাচাক । মাের বড়াে জেইঠানি ম্যালাদিন থাকি বেমারত ভুগি ভুগি কাহেলা পড়া হইচে এ্যাখেকালে । খান - দান করে , বল না পায়— হাস খাও - পারাে খাও আবস্থা ! মাথাঘুরা , ঝলকা বাইয্যে , আরাে কত কি যে উপসর্গ । দিনকাদিন হলদিয়া হয়া যাবার ধরিচে মানষিটা ।... ডাক্তার , বৈদ্য — কুচবেহার , শিলিগুড়ি কিছুতে কিছু না হয় । খাটি দেখিয়া কাটানি - চিরানী করি পাচটা দুবা আর পাচটা ওড়ের ফুল আনির কইল বুড়া । ফুল আর দুবাঘাসের কুশিগিলা নিয়া একটা কাসার মালােইর চাইরােপাকে পাচবার ঘুরি মালােইত থােয়াতাল - নুন সােদে একটে করি শক্ত সুমার মাখির ধরিল চাচা । সতে সতে চলিল মন্তর পড়া । — ওঁইচিম মারাে কিচিম খাও , পীরের দোহাই মাথাত দাও..ও ... দশ মাসান শােশান কালি , তাের্সাপীরের দোহাই মানি ... ফুঃ – ফুঃফুঃ ফুৎ ফু - উ ত্যাল - পড়া হইলেকালে সেই ইচিত - বিচিত জড়িবটি - ভরা ঝােলাটা থাকি পরায় আধা হাতের মতন দীঘিলা সরু লিকলিকা কিসের বা এখান টারুয়ানিকিলি মালােইটাত তিনবার ছােয়াইল বুড়া । —বাপপাই সাতপীর শােশানী মশানের দোষ আছে বাহে ! খিপে চ্যামঠা দ্যাও নগতে হাইলে ধরির না চায় — বুজিলু ? – কিম্‌চিত পূজা - পালি , চালান - মিলান ব্যয় - বিধান করা খাইবে ।... যে জিনিস কসি দিনু বা , আল্লায় করায় তে আদ্ধেক ঠাউরী যাইবে এ্যাতে । নাল শালুক প্যাচে দিয়া টারুয়াখান ভাল করি ঝোলাত ভরায় চাচা । — ' চাচা , খান আরাে ... !! হে’খান ... এ্যাকেনা রহস্যমই হাসি হাসে চাচা । হে খান ? কুটি কুটি মূল্য দিলেও এ জিনিস পাওয়া না যায় বাবা ! খালি খালি মুই মুল্লুকটাত ডাখালিফাটা হইছ বাহে । কইম , কইম তােক একদিনকা । আইজ নােএায় আর ..হ্যা , য্যামন করি হানে বাতে দিন ঠিক ওই ওইমন করি তেল - পড়াখান চালে যাইস । হপ্তা বিতি গেইলেকালে খবর দিস মােক । কইতে কইতে উঠি পড়ে চাচা । জলধাপাড়ার গহীম জঙ্গলখানের ওপাখে ঠুমাপাড়ার গালাকাটা হাটের নাগা চাচার বাড়ি । ত্রি - সংসারােত খালি এক বিধুয়া - বইনি ছাড়া কাহােয় নাই উয়ার । সােয়ামী এ্যান্তেকাল করার পর থাকি এই ভাইজানের বাড়িতে ঠাই নিছে বিধুয়া । সেই শিশুয়াকালে ‘ মুহাের ’ হবার পর পরে ওলাউঠা বেমারীত ইহজগত তিয়াগ করি চলি যায় চাচি । সেই থাকি বিয়াও - সাদির পাখে আর নাই ‘ মুহায় ’ শেরাল্লী চাচা । —পিততিগা কইচ্ছিনাে বাপােই , যেই মুহের সেই সাদি । মুহহারের পাছােত কাও যুদি কালে চলি যায় , অইন্যজন বিয়াও - সাদি না করমাে আর । আল্লাতালার কি যে মহিমা , অয় চলি গেইল , মুই হ্যার এ্যালাঙ আছছাং পড়ি । চুপ করি শুনি যাং মুই । এই হিয়া বিদারী কিচ্চা শুনি ‘ টু বুলি শব্দ না বিরায় মুখদিয়া । একদিনকা খিবে গুপ্তভাবে শেরাল্লীচাচা সেদিনকার সেই টারুয়াখানের রহস্য মাের আগােত বিক্ত করিলেক । -বাপােই , না কইস আর ইগিলার কত । তুই একদিনকা হেখানক নিয়া পুচ করিছিস — না কইলাে না হয়— বড় বিটকাল বাহে , বিটকালী কতা ইগিল । কত না রােঝা - বৈদ্য দেখেন— আছে কারােঠে এ্যামুন বস্তু ? বাপের দম না হইবে কাও দেখায়— খবদ্দার বাপই , ঝা শুনবু কারাে আগােত ফার্সা কোরবুনা —দে । যারেনাও মিন্নত খায় বাহে যারেনাও । কালা ম্যাতম্যাতা ভােন্দা বিলাই নাগে । এক চুল দোসসারা বর্ণ থাইকলে কালে চইলবে না । ঘাের আমাবৈস্যার আইতে ধরা খায় জিনিসটাক । মানুষজন নিঃশব হইলেকালে ঠিক অর্ধ আইতের সমায় নদীর পারের শ্মশানােত নিগি হানে এ্যাকখে ডাঙে মারা খায় জিনিসটাক । বাপােই সাবধান — পাছিলার নেংটিখান কিন্তুক শক্তসুমার গুনজা খায় — নাতেন ! তিনচান বিতি গেইলে ফির আমাবৈসার আইতত জীবটাক কব্বর থাকি তুলি ধােয়াপাখেলা কইল্লে যেই হাড্ডিখান সােতের উজান মুখে ছরছর করি যাইবে তাকে নিয়া কামাই বাহে তাকে । বন্ করি , পূজা - পালি দিয়া হানে শান্তি করি তুলি নেওয়া খায় জিনিসখান । বাগপাই , খালি খালি বৈদ্যালী বাহে ! শুনিতে শুনিতে ভয়তে চামরিচাক খাং মুই । দ্যাহার লােমাগিলা উড়ুরি যায় মাের । ফারাস্টের মইধ্যদি ঘাটা বুলি ওঝালি - বৈদ্যালি করি পরায়দিনে হামার এত্তি - এ থাকে চাচা । জলধাপাড়া জঙ্গলের গাও ঘেষ্টিয়া শেরকেটু মিয়ার বাড়ি - ওইঠে ধুরা উয়ার । মিয়ার বড় নাতি হইলেক বুড়ার হাতের নগরী । নাতি ছলেমুদ্দিন আলিকে আজি বহুদ্দিন থাকি গুণ - গিয়ান , কাটানি - চিরানি , ঝাড়ন ফুকন , বাহান - খিপন , জড়ি - বটির ভাও সউগে শিকির ধইরচে চাচা । সেদিনকা আছিলাে দ্যাওবার । চা - পানি খায়া একধিন্দি বসি আছােং খলতাের জাম । গছটার তলােত । বাইষ্যা পড়ি গেইচে বােল আর । উত্তরের নীল নীল পাহাড়ের মাথাগিলাত দাখলে দাখলে কালা মেঘের মিছিল যায়া নাগির ধইরছে । ধমকে ধমকে পুরান বাও গালা ধাক্কা দিয়া ঝুনি সাজের ধইরছে মেঘগিলাক । ইন্দ্র রাজার হুকুম ! এডি — এভি হও আর , বিলম নাই বােল , তােলাও বাও , ঝরুক দ্যাওয়া । সসাগরা আঈ ধরিত্তিরির সউগ শােক , তাপ , জ্বালা জুড়ি শীতল হউক নিমিষে । পােকিতির এই ইশিরা এই ইঙ্গিতে হায় দুনিয়ার কাও বুজুক চাই নাই বুজুক , বুজে খালি পানির ওই ইচিত - বিচিত মাছের ঝাক । ডিগির জলত ঝাপ্পা তিরপা নাগে উমার । আমানের পাখে ঝাপ্পি ছাশ্লাউ - ছাল্লাউ করি উঠে ডাইরকা , পুটি আর উপালি মৌকার ঝাক । এমন হিয়াভুলানী ছবিত বিভাের হয়া আছিলুং মুই । অচম্বিতে দেখােং শেরাল্লা মাহানের নাড়া ’ ছলেমুদ্দিন আলি দৌড়ি আইসে হামার ভিতি । মােক দেইকতেকালে হ্যাসফ্যাস - হ্যাসফ্যাস কইত্তে কইত্তে কবার ধরিল — চাচা , তােক এ্যাপ্লায় ডেকাইল নানা । আয়কে .. কি বিটকাল নাইগচে বারে ! উদ্দিসে না করেন ! ফির আরাে সেই ন্যাটোছিড়া দৌড় ! —একটা অচানক বিটকাল দেখিলুং যায় । গেরামের মেম্বরপধ্যান , দেওয়ানী - দরবারী , চ্যাংড়া বুড়া সগায় গােটো হইছে শেরকেটু মিয়ার আগ - দুয়ারােত । টারি - বাড়ি , অগল - বগলের আঈমাওগিলাও বাদ নাই যায় । সগগারে চোখে মুখে উত্তিজনার ভাব । দ্যাখাে , শেরকেটু মিয়ার বেটা - নাতি সগায় মিলি বান্দি আনির ধইরছে বুড়ার ছােটো সংসারের একমাত্র ‘ সইন্তা ’ কুরবাহান আলী মিয়াক । তারে সােদে ঠুকির ধইরছে ‘ উত্তম - মইধ্যম ’ ভাল করিয়া । ভয়তে কি কান্দন আর দলদল করি কাপন ব্যাচেরার । হায়রে ! কি হইল আরাে হায় ! - সাউয়ামারানী । শালার বেইমান মীর্জাফর তুই আজি হামার বংশর মুখখাত চুনকালি দিলাে ! বাক্ শালা বাক্ - কুঠে থুছিস জিনিসখান । নাতেন তাের আজি জাহান ...- নিমকহারাম শালা ! গপাইত হচিস তুই ! নােক পেঠে দিয়া হানে হুমমান সাদাসটঙা কবিরাজ চাচারঠে হাতে সরকে আনছিস জিনিসখান ! ক শালা —ক কুনঠে থুচিস ? – তাের অক্ত আজি চুষি খামু হামরা ! কানলা মােচড়ে ছিড়িমাে তাের ! কইতে কইতে ফির চড় থাপ্পর , ঘুষি আর পেণ্ঠি দিয়া মাইর । —আল্লার কসম খায়া কং ভাইরে , টারুয়াখান মুই সড়কাং নাই । এই এই এই চৌখ দুইটা ছুইয়া কং -- হুখান গাইপ কইল্লে ঝুনি তিনদিনকার ভিতিরা চোখুলা মাের চেলা বিরায় । আল্লা যাতে ফল দেখায় ভাই । - চু – চুকর বেইমান । ফির উত্তম - মইধ্যম ! কায় শুনে কার কতা । ঘটনা এমন কন্টোলের বায়রা যাওয়াতে পধ্যান সাইব আর থির থাকির না পারিল । দিরিত করি দিল একটা ধােয়া - দাবড় । —এ্যা – থামাে , থামাে সগায় । লােকটাক মাের মুখের আগােতে মারি ফেলাবেন নাকি ? হাইলচা গাথিম সগাকে ! ফির পধ্যান শেরাল্লি মিঞার ভিতি চায়া কবার ধরিল , কবিরাজের ব্যাটা , তােমরায় কও তাে বাহে আসল ঘটনাটা কি ? কুনাে - নুকাছাপা করিবেন না বুজিলেন ? একটা বাশের খুটিত হেলানি দিয়া হাট মুণ্ডে আছিলাে শেরাল্লী মাহান । এইবার খুটিটা ধরি কাপিতে কাপিতে খাড়া হইল ব্যাচেরা । দূর থাকি দেখা গেইল থথর করি কাপেছে ঠ্যাং দুইটা ! ভয়তে পল্টি খাবার ধরিল কলা । ঠিক এই সমায় বসি থাকা টারির পরিমল ডাক্তোর কিছু কবার বাদে খাড়া হইল । উপস্থিত দশজন , মাের অপরাধ না নেন বারে , খালি দুর্কিনা কত্তা কবার চাং মুই । ঘটনা যাই হউক , এগিলান বােধায় বেশি বাড়া আর ঠিক হবে না । শেরাম্লা বুড়া গরীব মানষি , এগিলা করি খায় —কাও দোষ ধরে । আজিকালি একটা নয়া আইন হইছে -– পেপার পত্রিকা পড়েন – সগায় জানেন তােমরা । জীবজন্তুর হাড় - হাড়ি নিয়া কারবার কইল্লে সরকারী পাশ নাগে । কাজে কাজে ঘটনাটা বেশি জানফাট হইলে কবিরাজ চাচারে নিদারুণ বিপদ দেখা দিবে । কসুরিত পড়িবে ব্যাচেরা । কয়ায় ডাক্তারবাবু ফির বসি পড়িল । হিপাখে এগিলান শুনি বুড়ার কম্প আরাে দ্বিগুণ বাড়ি যাবার ধরিল । পধ্যান সাইব মাথা টপকাইতে টপকাইতে শেরাল্লা মাহানের ভিতি ফির মনােযােগ দিবার ধরিল । ন্যাও , — করিবাজের ব্যাটা -কয়া যাও ... বুড়া কাপিতে কাপিতে ফির খ্যাও ধরিল – পধ্যান সাইব , দশাে - বাপােভাই অধমের গুন্নাই মাপ করেন বাবারে , – সউগে খুলিয়া কবার ধরচুং মুই । গেলাে দ্যাওবার দিনকা বেলা দুই - পহরের নাগাইত চেকামারী যাবার বাদে ঝােলা - মালা ধরি এডি হছুং মুই । হ্যান সমায় কুরবাহান ছাওয়ার বড় বেটা হামার আগিনাত খাড়া । ভােকে তিস্যায় মুখ শুকি গেইছে এ্যাখেকালে । পরানটা মাের হায় হায় করি উঠিল ! কত সাক্কালে বা বিরাইছে ছাওয়াটা ! ওহাে রে । কাপুনির ঠেলাতে জীবাখান পল্টি যাবার ধরিল চাচার।– উনাক এক গিলাস পানি দিয়া হানে বইনটাক চুড়া ঝাড়ির কয়ায় দৌড়ি বাজার গেলুং দুধ মিষ্টি আনিবার । ওই হাটোন , ওই দৌড় । ফিরি আসি দেখং চ্যাংড়া নাই ! শুনশান , হাওয়া ! বইনও কবার না পায় কিছু । খানেক দমখায় । চাচা । —নিদারুণ সন্দ হইল মাের । ঝােলা হাস্তে দেখং টাকা - কড়ি তাম্মানে আছে , কিবল হাড়িখান নাই ।। আল্লারে ! হায় হায় হায় ! কপাল ভাঙিল মাের ! নিশা নাগি গেইল খরিকে দেহাটা । নিষ্কাশনিবারে বলশক্তি না পাং আর । টারিবাড়ির দুই - একঝন জানাইল , —ঠিক ওইট একটা চ্যাংড়াক জঙ্গলের পাখে তুরন্ত ছাইকেল মারি যাবার দেইকচে । বুজিবার আর বাকি না রইল মাের । কতা শ্যাষ হইলে কয়ঝন উজাটু নােক ঝাপ্পি উঠিল আরাে , – কি রে শালার শয়তান ! মিচ্ছাবাদী মীর্জাফর কাহাকার , কয় কি বুড়া ? হ্যা , ... কাপিতে কাপিতে হাত ওঠায় বুড়া । – না – না – না । অর গাত আর হাত দিবেন না তােমরা । জোড়হাত মাের তােমারলারঠে বাবারে । দোহাই তােমার । দোহাই বাবা পধ্যান সাইব .... কুরবাহান বাছার সউগ দোষ মুই মার্জন করি দিলুং । উনাকে ছাড়ি দিলুং জিনিসখান ।। কতালা এক নিক্কাশে কুনােমতনে কয়ায় কুরবাহান আলির হাতের বান্দনগিলা খুলি দিবার ধরিল বুড়া । খুলি দিয়ায় কান্দি উঠি হুড়ুম করি মাটিত পড়ি গেইল শেরাল্লী চাচা ।

Post a Comment

Previous Post Next Post