"গাড়িয়াল বন্ধু" পর্ব -২
➤ মিজানুর রহমান
উত্তরবঙ্গের জেলা হইল লালমনিরহাট। লালমনিরহাটের যে কোনোটে থাকি পুব পাকে যাবার বেশিদুর ঘাটা নাই। অল্প এ্যাকনা আগাইলে তারকাটার বেড়া, মানে ইন্ডিয়া। পশ্চিম পাকেও যাওয়া যায না, গেইলে তিস্তা নদী পার হবার নাগে। তিস্তা নদীর এ্যাক পাকে লালমনিরহাট আর এক পাকে নীলফামারী ও রংপুর জেলা। ঐতক্নে কাওকাও ইয়ার্কি করি লালমনিরহাটোক কয় কোনা বেঙ্গল। আর এটেকার লোকে লালমনিরহাটোক কয় নালমুনি। একটা ঘাটা আর একটা এ্যাল নাইন দিয়া গোটাল জেলাত যাওয়া যায়। একমাথা থাকিয়া আর এক মাথা যাইতে এ্যাকনা জাগাত আস্তার বগলোতে তিস্তা নদী। অটে একটা বড় হাটও আছে,ঐ হাটের নাও হইল পালটিয়ার হাট, গ্রামের নাও--ও পালটিয়া। পালটিয়ার নাও বদলি হইছে পারুলিয়া। ওই গ্রামোত এ্যাকনা মানসীর দুই কোনা বেটি আর দশটা ব্যাটা আছিল। বাপ আর দশ ব্যাটা মিলি ওমরা গুলো ফুটবলও খেলাইছিল, ওমার দলের নাও আছিল বাপ-ব্যাটা একাদশ। একদিন পালটিয়ার হাটোত ঐ বার ছওয়ার বাপোক প্যায়া এক চ্যাংড়া ইয়ার্কি-ফাজলামি করি কছিল, কি বাহে তিন হালিয়া চাচা। বুড়ার ব্যাটা ওই চ্যাংড়ার পিঠিত চাপড়ে কছিল-
বাপোই তুই তো ঢের বড় হোছিস
বয়স টাও যে তোর হইছে পঁচিশ
চ্যাংড়ির সতে জোরে নাই এ্যালাও খাব,
আঠারো বছরতে মোক দিছিল বিয়াও
সংসারের কামাই আরো কত ইয়াও
তোর বয়সে হোচনুং চার ছওয়ার বাপ।
বিয়াও আর একখান করোং নাই খালি
করলে...... ছওয়া হইল হয় ছয় হালি।
কথা শুনি সগায় দিছলো তালি
সেদিন থাকিয়া নাও উয়ার 'তিন হালি'।
ঐদিন থাকি মানসী ওমাক তিন হালিয়া দেওয়ানির ব্যাটা করিয়া ডাকাইছিল। তিন হালিয়া দেওয়ানির ব্যাটার সউক চায়া ছোট ব্যাটাকোনা হইল বজ্জাতের হাড্ডি-খচ্চরের ওস্তাদ। কিন্তু চেহারা কোনা আবার সুন্দর। বাপ মায়ে নাও থুছিল মেহের আলী।
(এই মেহেরালি হৈল গাড়িয়াল বন্ধু, আজকে অংস গল্পের শিরোনাম)
হালিচা:
মিজানুর রহমান