কোচ রাজবংশী সম্প্রদায়ের কিছু বৈশিষ্ট্য



কোচ রাজবংশি হইল বহু পুরান একনা সম্প্রদায়। এই সম্প্রদায়টা মুলত কোচ রাজবংশের সাথত সম্পর্কিত। সেইবাদে এই সম্প্রদায়টাক রাজসম্প্রদায় বুলিয়াও কওয়া হয়। এই সম্প্রদায়টা কতগুলা ইউনিক বৈশিষ্ট ধারন করে সেই মতন আটটা আজি মুই তুলি ধরিলুং।
১. এই সম্প্রদায় পাচখান রাইজ্যত আর তিনটা দেশত ছড়েয়া ছিটিয়া আছে।ভারত বর্ষের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ভাগত, নামানি আসামোত, মেঘালয়, বিহার আর ত্রিপুরাত আংশিক জাগাত এই সম্প্যদায় থাকে। বাংলাদেশের উত্তরপাকে আরে নেপালের একটা বড় জাগা ধরিয়া এই জনজাতির সংখ্যা উল্লেখ করার নাকান।
২. কোচ রাজবংশি সম্প্রদায় প্রকৃতির বগলত থাকিবার ভাল পায়। পরম্পরাগত ভাবে দেখিলে একজন কোচ রাজবংশী মানষির বাড়ীত আমের গছ, গুয়ার গছ, কাটোল গছ, একনা সাক সব্জির বাগান, একনা দিগী থাকায় নাগিবে। আজিকার এই আধুনিক জুগতও এই সম্প্রদায়ের মানষিলা মকস্বলত থাকার ব্যাপারখোনায় পছন্দ করে।
৩. নানান বিভিন্নতার মইধ্যতও কোচ রাজবংশী ভাষা একটা ইউনিক ভাষা। এই ভাষার ছন্দ, মিঠা ভাব আর স্বর এই ভাষাখানের একনা নিজস্ব্য বৈশিষ্ট। ছন্দ, মিষ্টতা আর স্বর হিসাবে এই ভাষার তিনটা আঞ্চলিক প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। পুর্ব অঞ্চলের ডায়লেক্টস (উপ), মধ্য অঞ্চলের ডায়লেক্টস (উপ) আর পাশ্চিম অঞ্চলের ডায়ালেক্টসের মধ্যত এই প্রভাবটা লক্ষ্য করা যায়। গোটায় ভারতবর্ষত প্রায় দুই কোটিরও বেশী মানষি এই ভাষাতে কতা কয়।
৪. কোচ রাজবংশি জাতির নিজস্ব চিকিৎসা পদ্ধতী আছে। পরম্পরাগতভাবে অসুখ বিসুক আর কাটা ছেড়ার উপাচার প্রাকৃতিক ভাবেই করা হয়। প্রাকৃতিক উপায়ে পাওয়া এই চিকিৎসা বিদ্যা কিন্তু কোচ রাজবংশী সম্প্রদায় তার পরের প্রজন্মক দিয়া যায় কিন্তু অন্য সম্প্রদায়েরটে খুলি কয় না। যদিও এই নাকান বিদ্যা আজি গোটায় দুনিয়াত ভাল প্রচার পাইচে কিন্তু বাতের বিষ কমেবার বিদ্যাটা এই সম্প্রদায় অ্যালাও কারো সাতে শেয়ার করে না।
৫. কোচ রাজবংশী খাবার দাবার গুলা খুবে সহজ সরল আর সৃজনশীল। সাগাই সোদরের খুব যত্ন আত্তি করে এমনকি অন্য সম্প্রদায়ের মানষিও কোন কোচ রাজবংশী বাড়িত গেইলে উমার অনাদর হয় না। রান্ধন পদ্ধতী খুব সাধারন হয় আর সাধারন বাগানের সাক সব্জি, দিগীর মাছ, গছের ফল মূল দিয়ায় কোচ রাজবংশী সমাজের খাদ্য খাওয়া করা হয়া থাকে। কোচ রাজবংশী খাদ্য খাওয়ার গুলাও একটা ইউনিক বৈশিষ্ট ধরিয়ায় চলে। জেমনঃ শিদল, ছ্যাকা, ফোকতই, প্যালকা এই নাকান খাদ্য খাওয়ার কোচ রাজবংশী সমাজের একেবারে নিজের বৈশিষ্ট।
৬. কোচ রাজবংশী সমাজের স্বাস্থবিধি টিকি থাকে মুলত নিজক পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখিয়া। কোচ রাজবংশী জাতি ইয়ার বাদে একনা নিয়ম মানিয়া চলে “Cleanliness is next to Godliness”. নিন হাতে উটিয়া গবোর জলের ছিটা দিয়া আইঙনা সামটা, গাও পাও না ধুইয়া হাড়ি বাড়ী না ঢোকা এই নাকানে ম্যালা হাইজেনিক নিয়ম জেইলা কোচ রাজবংশী সমাজের নিত্যকার। এই সম্প্রদায় বিশ্বাস করে যে আমার খাবার দাবার প্রকৃতি মাওয়ের দান সেইবাদে বেশী হওয়া খাবার দাবার ফেলে না দিয়া ঘরের পোষা কুকুর বিলাইক খোয়ে দেয়।
৭. কোচ রাজবংশী সমাজত নানান কৃষ্টিগুলা গোটায় বছরখান ধরিয়ায় চলিতে থাকে। পুস্না, বাশ পুজা, সুভোচনি পুজা, কাতি পুজা, বেষমা, জকা পুজা, নয়া পুজা, গোনাথ পুজা এই নাকান পুজা গুলা মোটামুটি সউগ কোচ রাজবংশী মানষিলার মুখ্য পুজা পার্বন।
৮. কোচ রাজবংশী জাতির সংগীত সাধনার সুর হইল ভাওয়াইয়া, যে গানের সুর দ্যাশ ছাড়িয়া বিদেশের মাটিতও নিজে পরিচয় জানান দিচে এটা কোচ রাজবংশীর একেবারে নিজের সম্পদ। সুরেন্দ্র বসুনীয়ার হাত ধরি যে সুর ঘাটা ধরিছে একে একে আব্বাসউদ্দিন, প্রতিমা বড়ুয়ার হাত ধরিয়া আজি ভাওয়াইয়া একটা অলগ পরিচয়।
এই জাতির প্রভাবশালী আর তাৎপর্জ্যপুর্ন একটা ইতিহাস আছে জেটা আমরা সগায় জানি। খুব উর্বর আর জ্বলজ্বলা একটা অতীত আমারা বুকত ধড়ি বেড়াই। আমার সগারে আরও ম্যালা কিছু জানা উচিত এত সুন্দর একটা জাতির ব্যপারে।

_____পার্থ সারথী রায় (Partha Sarathi Roy).

Post a Comment

Previous Post Next Post