রাজবংশী সমাজ উকটাঙ ভাওয়াইয়াত
জ্ঞানবিলাস যােষীৎরঞ্জন রায়
রাজবংশী সমাজত ঝলঝলা ছবি দেখা যায় ভাওয়াইয়া গানত । এই গানত এনাকানের মহিমা রাজবংশী সমাজত পত্তিটা মানষি ছােটয় - বড়য় ছাওয়ালা এ্যকে , যেনে জন্ম হাতে গালাত নিয়া আইচ্চে । রাজবংশী জনজাতির ধমনীত , পত্তিটা শিরা উপশিরাত , রক্তত যেনে । এইগান মিশি গেইচে । দিনের শেষত কামাই ভাইটাইলে তায় আসর সজায় কোনােবেলা নামকীর্তন ’ , কোনােবেলা ‘ দোতরা পালা গান ’ , কোনােবেলা ‘ কুশান ’ নায় ভাওয়াইয়ার ভাল ভাল আসরত । আসলা যেনে সাজি উটে মহামিলনত ; যেটে সগারে সুদে দেখাশুনা হবার পারে , কতার দ্যেঙন্যে হবার পরে । সহজ সাদা মানষিলার মনত জাত - বেজাতের ক্যেচাল উকটি পাওয়াটায় হৈলেক শক্ত কামাই । ডােম ডাওয়াই হেন্দু মােচরমান একসুদে একাকার আবাস্থা । এইকনা আর ভাল করি বােঝা যাবার পারে হালবােয়ার সমায় । গাতা দেওয়া বা নেওয়া রাজবংশী সমাজের যৌথ কৃষিকামাইর এক ঝলঝলা উদাহরণ । আরও ভিতরবাড়ি দেকির গেইলে গােরক্ষনাথের গানত যেনে পাই হেন্দুর পূজার সুদায় মােচরমানের পীরের কি - নাকান সুন্দর মিল , তা বুঝির পারা যায় ; ‘ পশ্চিম হাতে আসিল পীর মুখে চাপ দাড়ি , দৈ দুধ মাগিতে গেল নন গােয়ালের বাড়ি ননগােয়াল ননগােয়াল দধি দেওরে খাই গােয়াল বলে আছেরে গােয়ালিনী বলে নাই । বাতানে পড়িয়া মৈল সাতশত গাই সাতশত গাভি মৈল , নয়শত তার বাছা ছিতিয়া পাকেয়া মৈল নাই নেকাজোকা । – ইয়ারে মৈধ্যত আছে আরও কথা । ফির সেই গাইএর কুল্লোয় গরুক জিউ ঘুরির বাদে যায় আসিলেক তায়ও ফির— ‘ থুমকা পীর উটিয়া বলে মানিক পীররে ভাই মারিলাম গােয়ালের গরু চল জিয়ােবার যাই । —এটিকোনায় রাজবংশী জাতির মহানুভবতা , সহনশীলতার পরিচয় পাওয়া যায় । ভাওয়াইয়া গানের পরিবেশনা আর সুরের কোমলা আদর মনক বাউদিয়া করিয়ায় ছাড়ে । এই গানের ভাবত পঙরিতে পঙরিতে মানষির মন যেলা সংসারের মায়া - মমতা বাড়িঘর ছাড়ি সৈন্ন্যাস নিবার উপক্রম হয় স্যেলা তাক কয় ‘ বাউদিয়া ' । একনা সমায় স্মৃতি'ক বান্দি রাখায় আইলাে এই গানের পিেরধান আধার , আর ইয়ারে বাদে বিতিযাওয়া দিনের খানেক কতার অদলবদল লৈখ্য করা যায় । ভাওয়াইয়া গান হৈলেক নদীর গহীনতল । তায় কোন এক কবি কৈচে ,
সারিন্দা বাজায় সাধ সদাগর
বাঁশি বাজায় চোর।
ব্যেণা বাজায় তেনা পেন্দা
দোতরা হারাম খাের ।
ইয়াতে মাের মনে হৈচে , সারিন্দা বাইদ্যখান যায় বাজায় তার মন হৈবে সওদাগরের নাকান , তায় হৈবে সর্বধনের ধনী ; যায় বাঁশি বাজায় তায়বােল মনচোরা , অর্থাৎ কৃষ্ণ । উনায় যেনাকান বাঁশির সুরত রাধাক মােহিত কৈচ্চে সেই নাকানে যায় যায় বাঁশি বাজায় তামার মন এই নাকানে হয় । ব্যেণা ’ খুব সহজে বনা যায় , আর ইনার বাজনার এই নাকান গুণ পেটের খাবার আর নিন্দিবার ঘর কোনাও যদি না থাকে , ব্যেণা যদি একবার ঈাত্ মন টানির পাঃ তাইলেয় হৈল । ধনী গরীবলার তফাৎ নাই এই যন্ত্ৰখনত । ‘ দোতরা হারামখাের ’ হৈলেক এইবাদে , যা সহজে ধেন্দা যায় ; যায় যায় দোতরা বাদক তায় যদি একবার পিরিতিত পরে তাইলে আর কারাে ভিতি দেকিবার উপায় থাকে না । কারণ কাকো কোনাে কতা দিয়া তা রৈক্ষা করা তার পৈক্ষে অসম্ভব । একনা ব্যাপার কিন্তুক ভালে যােকানে ঝলঝলা , গানের সঙ্গতকারী যন্ত্রলার যদি এই মহিমা তা হৈলে গানের কি নাকান মাহাইত্ম থাকিবার পারে । এই গান শুনিলে , এই গান কৈলে মানষির মন উদাস হৈবেই । আর তারে বাদে ভাওয়াইয়া গানত এই নাকান প্রাচীন আর উন্নত জাতির সমাজ ব্যবস্থার ছবি ফুটি উটায় হৈলেক স্বাভাবিক ব্যেপার । অচানক হওয়ায় খা একেবারে সহজ সরল রাজবংশী শব্দলা সুরের উগ্র ভর করি জীবন গাথার সমাজচিত্র গানের আগিনাত ফুটি তােলে । তারেবাদে ভাওয়াইয়া বাতাসের কোলাত ভাসিলে সথে সথে মাটির বাসনা ছড়ি যায় । হুদুম পূজা , এই সমাজ ব্যবস্থাত একনা সমায় যে মাতৃতান্ত্রিকতায় উপরী পতিষ্ঠিত আছিলাে তা বালেকোনায় বােঝা যাববার পায় । মহিলা পরিচালিত পূজালত । সেটিকোনা নারী স্বাধীনতার স্পষ্ট বার্তা জানি পূজার রীতিলা আসি চাইরােপাকে জাপটে থাকে । একনা উদাহরণ থাকি দেকি নেই , হুদুম পূজার পদ্ধতি সচাঙে আচানক নাগে , নারীরা কত নিরাপদ জীবন যাপনে অভ্যস্ত আছিলাে সেই জনশূন্য জাগাত নারীর ঘর নিজের ঘরের লৈজ্জা দূরত রাখি প্রকৃতির সাথত নিজের ঘরক একেসুদে রাখিলে মানব সমাজের মঙ্গল সাধনত ব্ৰতী হৈছে । পুরুষের ঢুকিবার অধিকার ছেল না সেটিকোনা । সাথােত চলে প্রাকৃতিক চেতন করির আহ্বান , সুন্দর চেতন করার চেষ্টা , উচ্চারণ হয় সামাজিক মঙ্গলের গান ।
হিল হিলাইচে কমড়খান মাের
শিরশিরাইচে গাও
কোনটে গেইলে গেইলে মুই
হুদুমের দেখা পাও । ”
কঠোর প্রকৃতির গানের মাদকতাত নিজোক ধরি রাখির না পাঞা সিঞ্চন করি বারিধারা ।
রাজবংশী সমাজব্যবস্থাত ইমরালা গােষ্ঠীবদ্ধ ভাবে থাকতে অভ্যস্থ । কিছুকাল আগত্ রাজবংশী আছিলাে যৌথ পরিবারত । কালের নিয়মত খানেক বদলি যাবার ধরিচে এলাকার দিনত । ত্যেঙো মিলমিশি চলার মানষিকতা এলাঙ মুছি যায়ে নাই । একান গান দেখা যাবার পারে , ‘ ও কৈনা ভাই ভাগি গুজরান করি দিনে রাইতে খাটিয়া মরি কোচকেচিতে শরীল হৈল মাের কালা । গােষ্ঠীবদ্ধ থাকিবার বাদে সামান্য মতানৈক্য হবারে পায় । কিন্তুক তা দীর্ঘস্থায়ী হবার পারে না । ত্যেঙে যেনে একননা শান্তির বাস্তু সগারে মনত বিরাজ করে । গােষ্ঠীবদ্ধতার বাদে রাজবংশী সমাজত সৃষ্টি হৈচে দল বান্দিবার গান করিবার রীতি । যে - নাকান— কামদেবের গান বা বাঁশের গান , গােরক্ষনাথের গান , এই নাকান । রাজবংশী জাতির মাইনষের খাওয়া খাইদ্য কি নাকানে ভাওয়াইয়া গান তার বর্ণনা দিবার ভুল করে নাই । রাজবংশী ঘরের খাবারের স্বকীয়তা আছে । যেইনাকান চাউল ভাজাক কয় ভুরভুরা আর এই ভুরভুরা উরুন - গাইন দিয়া ভুকি ছাতু করি হয় চাইলের গুরা ; এনাকান নানান নাকান সবজিত খার দিয়া তাকে কয় ছেকা । ছ্যেকার খার তৈয়ার হয় আটিয়া কলাগচের মুড়াক কাটি শুকি ফির পােড়ে ছাই নাকান করি । ভাওয়াইয়া গানত পার্ড ,
( ১ ) তুইও দেকিছিলু মাের শিকাই ঢিলা নওদারি খাবার দিলু মােক চাউলের গুরা ।
( ২ ) ভাতের মাড়ি দিয়া মুই শিদল আউটিনু কাচা মরুচ নাউয়ের পাতা বাটিয়া দিমু
( ৩ ) “ আলাে চাউল আর দানা গুড় আরাে মিটাই মতিচূড় ’ এই নাকানে আচে দুধ খাবার উপকরণ , - ‘ দুধ খােয়াইলেন স্যেরে সেরে রে মৈশাল দৈ খােয়াইলেন হাড়ি হাড়ি ...।
রাজবংশীলার বাড়িত চাইরােপাকে চাহরােখান ঘর থাকিবেই তার বাদে ধনী গরীবের ব্যেপার নাই নায় বাড়ির চক মিল হয় নাই । চাইৱােপাকের ঘরের মৈধ্যে উত্তরের ঘরটায় হৈলেক বড় ঘর যেটে ঠাকুর বাস্তু । বাড়িত যতয় নাকানে অনুষ্ঠান হোক না কেনে বড় ঘরের এ্যা আলেদা আদর আছে । বেটা - বেটির বিয়ার কামাই কাজ সৌগ নিয়মে হয় বড় ঘরের ভিতরা । আর সেটি কোনাও ভাওয়াইয়া গান বসত করে , বড় ঘরের মাঝে রে ঐ না পাশাখেলা বৈচ্চে সগায় তাতে তাের ঐ না পাশাখেলা দেখিয়ে আউলাইল মাের মন , আবাে কঙ তাের আগে । —এটি তাে দেখিলােঙ চৌহদ্দির একনা ঘরের গুরুত্ব । আর আর ঘরের আর আর নানান নাকান গুরুত্ব আছে । ভাওয়াইয়া গানত আমরা দেকির পাই বাধাহীন চলাফেরা , এটিকোনাও আমরা । দেকির পাই বিয়ার বাদে কৈনা - গাবুর কি নাকান হৈবে ? নারীর মৈধ্যে নারীৱে ত্যেল কালা সেনে নারী তাের গােরাক পােচে কাঞ ? আর একান আমের পাতা ঘসারে ঘসা তেঁতুল পাতা সরু , এচিয়া বেচিয়া করিমু পীরিত যার সে কমােড় সরু । এই নাকানে ভাল গাবুর কি নাকান হৈবে— ‘ ভােটরা ভােটরা চখু নারীর যদি না থাকে নাং নাল ঢক ঢক চখুর পুরুষ যদি না খায় ভাঙ । বিয়ার অনুষ্ঠানের মৈধ্য দিয়া শুরু হয় কোন চেংরা একনা চেরির ঘর সংসার সাজানি । সেটিকোনাও ভাওয়াইয়া গান যেনে গচার নাকান । বিয়ার গালা যেনে ভাওয়াইয়া নামক আগিনার ভােকধান তুলসিভােগ ধানের পুঞ্জি । বিয়ার গানলা দিশা দেয় রাজবংশী নারী জাতির দায়িত্ব কর্তব্য , বুদ্ধির প্রখরতা আর রঙ তামেশার আদব কায়দা । আঈওর বুকের বাৎসল্যরস আর সামাগিক চেতনা জেনে ভাওয়াইয়ার চাকের মধু । বিয়ার গানের গভীরতাত দীর্ণ বিদীর্ণ হজ্ঞা যায় আঈওযর বাবার মন । ডুকরি কান্দি ওটে হৃদয় । রাজবংশী সমাজত কৈনা পনের প্রচলন আছিলাে এলা আর নাই । কৈনা পনের ভয়ঙ্কর প্রাদুর্ভাবের থলােতে সৃষ্টি হৈচে ঘর সােন্দা বিয়াও নায়তা ঘরজেয়াবিয়াও । ঘরসােন্দা হৈল পণের টাকা জোগারের অক্ষমতায় চেঙরাটা চেঙরির বাড়ি যাওয়া । চেওরির ঘর যাওয়া , পাছত মীমাংসা করি ঘরজেয়া হৈলে বেটির বাড়িত থাকি যাওয়া । ‘ টাকা না দেন দাদা ষােল কুড়ি ব্যেচেয়া না খান দাদা জলপইগুড়ি টাকা নেন দাদা ছয় কুড়ি ব্যেচেয়া কান দাদা টারিবাড়ি । রাজবংশী নারীর অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপের ছবি দেকির পাই ভাওয়াইয়া গানের মইধ্যত । ইমরা নিজের গায়ের কাপড় নিজেরা বনাইচে আর ব্যাচেয়া খাইচে । ‘ বুড়ি গেইচে টানার বৈতানে , বুড়া বসিয়া ভাবে রে কোন কোন রঙে বনামােরে শাড়িখান বয়ান কঞদে । নারীদের আর্থিক সংস্থানের আর কেনা দিক ‘ একটা ছাগল কিনিয়া দিলু রে দাদা পােষে মানে না এটার বাচ্চা হবার নয় , এটা উকুন্দি হৈচে ছাগল ব্যেচে দাদা গাইবাছুর কিনি দে । ও মাের মালার খাইতেতে কিনিয়া দে কৈতার । কৈতােরের বাচ্চা ব্যেচেয়া দাদাআনিম গলার মালা ও মাের মনের আশ । তুই কিনিয়া দে মােক হাস হাসের ডিমা ব্যেচেয়া আনিম দাদা দুই কানের সােনা । কতযােকান সহজ সরল আকুতি , নারীর সুপ্ত চাহিদা বাসনা পূর্ণ করির পাঞ , তা রাজবংশী নারীর ঘর জানে দিবার ভুল করে নাই । অর্থনৈতিক কামাই রাজবংশী সমাজত পুরুষ ও নারীর ভেদাভেদ উকটি বির করা ফাওএ । এই নাকাননে অর্থনৈতিক স্বাবলম্বী হবার বাদের সগার সগারে সুদে । পুরুষের ঘরের পিেরধান থনৈতিক কামাই হৈলেক কিশান , নাহৈলে বনে বনে গরু মৈশ চড়েবার হাত্তি ধরেবার কামাই । হাতি ধরার কামাইখান করে বুলি মরা মাহুত বন্ধুরে আর মৈশ ধরেবার কামাই করে বুলি উমরা মৈশাল বন্ধুরে । অর গরুর গাড়ি যায় চলায় তায় বােল গাড়িয়াল ভাই । এথ কানাকে হৈলেক পাইসা কামাই করিবার ঘাটা । আর এই ভাওয়াইয়া , িেটকোনা আসিয়া তার বহিমা পােরকাশ করিবার বাদে পাছে যায় নাই । তায় মাহুতের মাঈয়া বা প্রেমিকা কয় ‘ ও মাের গণেশ হাতির মাহুতরে দলভাঙিবার যানরে মাহুত ঢাকা বিলাতে মৈশালের প্রেমিকা মৈশালক খাবারের কতা কয়‘ আকারি চাউলের ভাত মৈশালরে মৈশাল কমনা মৈশের দুধ ...। সেই সময় গাড়িয়াল খালি গাড়ির চালকে নােমায় উমায় একনা গাড়ি গাড়িয়াল ব্যবসায়ী আরও নানান নাকানে । রাজবংশী সমাজত ধমেলর প্রভাবও খুব সুন্দর করি চলি আইসছে , তাক বুজিবার বাদে ভাগবত গীতার নাকান কঠিন সংস্কৃত শব্দ বা ব্যাখ্যার প্রয়ােজন হয় না , খালি কয়টা শব্দত মালা বনে তৈয়ার হৈচে ভাওয়ার মনঃশিক্ষা বা দেহতাত্ত্বিক গানের কলি । যেটা হৈলেক বাস্তব খানেক সুনজরের ফসল । তায় কান বম্পাতিলে শুনির পাওয়া যায় ইট বালার দালনের নাকান— ‘ দিনে দিনে খসিয়া পড়িবে রঙিঙ্গলা দালানের মাটি গােসাইজি , কোন রঙ্গে হাড়ের ঘরখানি , চামড়ার ছাউনি বন্দে বন্দে তার জোড়া । জবেন যে কি নাকান আদরের তা বুজিবার বাদে গেরামের কাঙো ভাওয়াইয়া গানের কতা শুনি যাবার খায় । প্রাণ বায়ু না থাকিলে পাবার পাই , ও জীবনরে জীবন চড়িয়া না যাইস মােকে তুই জীবন চাড়িয়া গেইলে আদর করিবে কাএ জীবনরে । ” রাজবংশী সমাজের রীতি নীতি নারী পুরুষ নির্বিশেষে সগারে জীবন । যেনে বাওয়াইয়া গান । এই সমাজটার চরম সইত্যের ছবিয়ে হৈলেক ভাওয়াইয়া গান । রাজবংশী মানষির আবেগপ্রবন মন তলতি ধরে উমরার জীবনযুদ্ধের কথা ভাওয়াইয়ার রসত , টঙত । তাক এই গানের সুর নে দিন বন্ধ হবার সুযােগ পাবার নোয় কোনবেলাও , হারেয়াও যাবার নােয় কোনয় দিনও । দিনে দিনে ইয়ার আদর আপ্যায়ন গােরব বাড়িবেই আর বাঁচি থাকিবে ইয়ার মৌলিকতা।
হালিচা:
প্রবন্ধাদি