আপন পায়ে দাঁড়াও
কলীন্দ্রনাথ বর্মণ
চোঙ্গা ফুকাই উড়াই কত রংবেরঙ্গের ঝাণ্ডা ,
ঘরৎ খাবার নাই তাহাে দেই নানান পাটির চান্দা ।
যার নাইতে তার
সিকিয়া বান্ধুয়ায় সার
এক এক জনে হৈছি হামা বড় বড় ছাতুয়া পাণ্ডা।
উম্যরাগেলা নেতা হঞা বান্ধি দালান বাড়ী ,
আর হামার ঘরের ভেসেরিয়া পড়েছে ধারি।
বৈরাগী নাচে কাজোৎ
ঝলা নাচে ভাববাৎ
উম্যরা হাঁকায় মটর গাড়ী , হামার পিন্ধনে নাই শাড়ী ।
করিনাে অপরের আশা তাতে গেল হামার দিন ;
সুখ তাে দূরের কথা দিনে দিনে হছি হামা হীন!
পরার আশায় থাকে যায়।
নিত্তি উপাস করে তায় ,
ভুটি শুকিয়া রয়া এলা রাতিৎ না ধরে নিন!
যারে তারে সঙ্গ ধরা যুগ আর সেইদিন নাইরে নাথো ,
এই দিনত নাথাে হইছে মাের আরেক মতাে ।
সাত সতনী তেরাে জাও
তার মাঝােৎ গড়াছি গাও
সারা মুলুকটায় ভরিয়া গেইছে খংগাভরায় যত ।
নিন্দিয়া থাকা পাছােপড়া ক্ষত্রি জাতির জাগরণ
আনিয়া দিয়া গেইছিলাে ক্ষত্রিয়ের ঠাকুর পঞ্চানন ।
ভাইরে যদি থাকে মনৎ
থাউক না কেনে দেশের কোণৎ ,
আবার তার আদর্শে তম্যরাগেলা দেও মন ।
ভাইরে না করেন পরার আশ সংঘ-সমিতি গড়াও ,
নীচৎ পড়িয়া রহা জাতি আপন পায়ে দাঁড়াও।
যদি যাই পরবাস
তাও না করি পরার আশ ,
জাগাে , এই হিয়াচার দিনত যদি বাঁচিবার চাও !
হালিচা:
কালীন্দ্রনাথ বর্মণ