ভােটের উজাই
কলীন্দ্রনাথ বর্মণ
দেশ নাগে যেলা ভােটের মস্ত বড় ধূম
বড় বড় নেতাগেলার সেলা না হয় ঘুম।
নেতাগেলা বাধি নানারকম পাটি
ভােটের তানে করে উজান ভাটি।
যেনং পুটি মাছের যেলা নাগে ভেঁও
কণেকও না মানে আর বাঁহি সেও।
কত দেখি ভাই ভােটের ভেকধারী
কাঙ্গালের বন্ধু সাজি বেড়ায় বাড়ী বাড়ী।
নেতাগেলা ভােটের বাদে হয় বাহির
উম্যা নিজের বাহাদুরী করে জাহির।
জিবি হাতে নিকিলিয়া দেয় পান-বিড়ি
হবার চাহে হামার মেম্বার মনতিরি।
হামরা থাকি ও ভাই পাড়াগাঁয়ের পরে
কত নেতা আসে হামার ভাঙ্গা খেড়ের ঘরে।
সেলা দরদী বন্ধুর লেখা জোখায় নাই
ভােট ফুরালে বন্ধুর দেখায় হওয়া ধাই।
যেলা খায়া রহি হামরা আধা পেট
সেলা দরদী বন্ধুর হামা না পাই ভেট।
যেনং দহলাত নাগে যেলা উজাই
ব্যাঙে ডবা চৌকা সেলা হয় বােঝাই।
কোনঠে হাতে আইসে হলদিয়া ব্যাঙ
বড় বড় হলদিয়া ব্যাঙের লম্বা লম্বা ঠেং।
ঐ মতন যেলা নাগে ভােটের ধূম
ডডারি-ফপারিতে হামার না হয় ঘুম।
এই মতন হলা ব্যাঙের মত নেতা যায়
দেশের কতখানি মংগল করিবে তায়।
সােনা-রূপা চিনা যায় পাথর ঘষিলে
বন্ধুবান্ধব চিনা যায় বিপদত্ পড়িলে ।
১৯৫২ সালে প্রকাশিত
( দি রাজবংশীজ অব নর্থ বেঙ্গল পুস্তকে উদ্ধৃত ২৩৫ পৃষ্ঠায় )
হালিচা:
কালীন্দ্রনাথ বর্মণ