টুপামারির দক্ষিন কোনাত জোড় পাগারের পাড়,
কে,সি ঘাটার বগলতে নোয়ায় শুনপাতার।
মুই ওট্টেকোনা আসি।
মনের হাউসে ছন্দ সাজাং গছের ছ্যায়াঁৎ বসি।
কাতি মাসের আগিলা সমায় বইছে ঠান্ডা বাঁও,
ধানের শীষত বাজনা বাঁজে কানত করে আও।
শীষত নাচে ধানের ফুল;
মুহুর্মুহু বাসনা ছাড়ে মনটা হয় আকুল।
অল্প দুরত আউগি দেখং তিন কোণা এক জলা,
টলটলা ছিপছিপা পানিত ডারকা মাছের খেলা,
আরও গড়াই-চেংটির ভাস,
মাছ না ধরি তামশা দেখি মিটাং মনে আশ।
সাদা বগিলা টোঁক ধরিয়া পুঁটি মাছের টানে,
সারো পঙ্খি উড়ি পরে পোঁকা খাবার তানে,
ঘুঘুর ডাকও শোনা যায়;
সেট্টি থাকি বাড়ি ফিরির মনটা আর না চায়!
উচাঁ ভুঁই স্যাতস্যাতা মাটিত টোপাপানার ফুল,
ফুলের মাঝত দূর্গার চোখ চায়া টুলটুল!
ফুল বাঁও বাতাসে ঢোলে,
পানার শিপা মাটিত মেশে জিয়েঁ থাকার ছলে।
টোরটোরানি সোনা ব্যাঙ’র লম্ফ দেখং চায়া,
কীটপতঙ্গের জমের নাখান আইসে ধাঁয়াধাঁয়া,
মোর মনত হাসি পায়;
দিন-মনটায় উগল্যা দেখি সমায় কাটি যায়।
রচনাকালঃ০৭/১১/২০১৭ইং
টুপামারি বিল,
দুপুর-২টা
হালিচা:
আশরাফুল আলম