“ছেলেট” শৈলেন দাসের নেখা রাজবংশী ছোট গপ্পো


পঞ্চাশ-ষাইট বছরের আগের কথা ।দেশি মানষি খরিদ্দার দেখিলে
টাউনের দোকানিগিলা ভাবে ----একটা দেশি মুরগী পাওয়া
গেইল,ভাল করি খানিক ছোলাই ।সাত পাঁচ চৌদ্দ বোঝেয়া মাল গতে
দেওয়া যাবে।
মরুচবাড়ি থাকি মোর গাটুমামা গেইচে আলিপুরদুয়ার হাট মরুচ ধরি। স্যালা
আলিপুরোত খুব বড়ো মরুচের বাজার ছিল।ভুটানি পাইকার আসিচে ।
আর মোর মনে হয় মরুচবাড়িত খুব মরুচ হইচে বুলিয়া গ্রামের নাম
মরুচবাড়ি ।একটা হাট আচে তারো নাম মরুচবাড়ি হাট ।এলা
অবোশ্যো নাম পাল্টি 'মরিচ বাড়ি' হয়া গেইচে।
মামার বাজারঘাট কইরতে কইরতে ফম পরিল --- বড়ো বাউটাকতো
ইস্কুল ভত্তি করি দেওয়া হইচে, উঙার একান ছেলেট কেনা
খাবে ।বড়োবাজারের একটা দোকান যায়া দোকানিক একান
ছেলেট দিবার কইল ।দোকানি একান ছেলেট দিয়া ছেলেটের
গুন-কীত্তণ শুরু করি দিল--- ছেলেটখান খুব ভাল কোয়ালিটির,খুব
শক্ত ,শক্ত খুটা দিয়া বান্দাই করা, কালা রঙ এক্কেবারে উঠিবে না।
শ্যাষোত ফির আরো কয় ---- ছেলেটখানের দুইপাকে ন্যাকা
যায় ।
গাটুমামা মনে মনে কয়, --- গ্রামের মানষি বুলি জলদা সাটি পাইচে
,ইয়ার দোকানোত ছেলেটে কিনিম না ।মুখোত ফির দোকানিক
কইল,----- দাদারে,মোর একনায় ব্যাটা, মোক ঐ একপাকে ন্যাকা
যায়, এমন একান ছেলেট দ্যাও ।


নেখাইয়াঃ শৈলেন দাস।
থানেশ্বর হাট, কোচবিহার, ভারত।

Post a Comment

Previous Post Next Post