শ্রাবস্তি রায়'র অনুবাদ করা কামতা-রাজবংশী কবিতা “শাড়ি”


বিয়াত একান্নখান শাড়ি পাইসিলো চেংরীটা,
পথফিরানীত ফিরি আসি আরো ছয় খান ।
এতুলা শাড়ি একনগতে উয়ায় জীবনে দেখে নাই
আলমারির পইলা তাকত উয়ায় থুইল সউগ নীলুয়া শাড়িগিলাক ,,
হালকা একখান নীলুয়াক জড়েয়া ধরি কইল 'তুই মোর আসমান'
দুতিয়া তাকত থুইল সউগ গোলাপীগিলাক
একখান গোলাপীক জড়েয়া ধরি কইল 'তোর নাম অভিমান '
তিতিয়া তাকত তিনটা ময়ূর যেই নাখান;
তিন দিক হাতে ছুটি আইসা সুখ ।
আর তেজপাতা রঙ যে শাড়ি খানের তার নাম দিল বিষাদ ।
সারাজীবন উয়ায় খালি শাড়ি উপহার পাইল,,
এতুলা শাড়ি উয়ায় কি করি এক জীবনত পরিবে ?
কিন্তুক বচ্ছর যাইতে না যাইতে ঘটি গেইল সেই ঘটনা।
সইন্জার মুখত চেংরীটা বেড়েবার ধইচ্চিলো
                      সোয়ামির নগত , চাইনিজ খাবার ,,
কাপড়ত মুখ বান্দা তিনটা চেংরা আসি দাড়াইল
সোয়ামির তল প্যাটোত ঢুকি গেইল বারো ইঞ্চি উপর থাকি নীচত ।
নীচ থাকি নামি ডাইন পাকত। পড়ি রইল খাবার ,,
চিলি ফিশ হাতে সেলাও ধোঁয়া উঠছে।
                                ইয়ারে নাম রাজনীতি!
কইসিলো পাড়ার মানষিগিলা.....
বিয়াত একান্নখান শাড়ি পাইসিলো চেংরীটা
পথফিরানীত ফিরি আসি আরো ছয় খান ।
একদিন দুপুরাত শাশুড়ি ঘুমাইসে ,,
সউগ শাড়ি বাইর করি ছয় তালার বারান্দা হাতে
উড়ি দিল নীচের পৃথিবীত ।
শাশুড়ি পেন্দে দিসে উমাক সাদা থান ।
উনিশ বচ্ছরের একটা চেংরী ,, উয়ায় আকেলায়
কিন্তুক সেই থান ও এক ঝটকাত খুলি নিল তিনজন ,,
পাড়ার মোড়ত একটা সইদ্য নয়া উদাল বিধুয়া চেংরী
দৌড়াছে আর চিকিরেছে বাঁচাও..........
পাছিলাত তিনজন ,, সেই কি উল্লাস!
মুখত ঠিপল নাগাইসে পাড়ার মানষিগিলা।
বিয়াত একান্নখান শাড়ি পাইসিলো চেংরীটা।


(কবিতাঃ শাড়ি। কবিঃ সুবোধ সরকার)
অনুবাদঃ শ্রাবস্তি রায়।
পুর্বমাগুরমারী, জলপাইগুড়ি, ভারত।


Post a Comment

Previous Post Next Post