(দুই)
রংপুরের ভাষা শিক্ষাঃ
মিজানুর রহমান
রংপুরিয়া ভাষা > সাধু ভাষা
ডিগি > পুকুর
বাউদিয়া > ভবঘুড়ে
আলসিয়া > অলস
সুতি আচং > সুয়ে আছি
মিচা কতা > মিথ্যা কথা
বিয়াও > বিবাহ
ডাইল > ডাল
ত্যাল > তৈল
আন্দন ঘর > রান্না ঘর
নাউয়া > নাপিত
কাউয়া > কাক
ম্যালা > অনেক
মিচ্চিয়্যানা > অল্প একটু
দাও > দা
সাংকি > ভাত খাওয়ার থালা
কাটুয়া > একধরনের মাটির বাসন
খোড়া > বাটি
কুরিয়া > অলস
কুপি > কেরাসিন বাতি
ন্যালটোন > হারিকেন
সান্জোত > সন্ধায়
দেওয়া > আকাশ বা আসমান
চান > চাঁদ বা চন্দ্র
ব্যালা > সূর্য
খাইল > গর্ত
ছেন্ডেল > জুতা
কাপড়া > কাপর
পিড়ান > জামা
মাইয়া > স্ত্রী
ভাতার > স্বামী
টোংরা > হাড্ডি
গজী > গায়ের চাদর
পাইলা > হাড়ী পাতিল
কিষ্ষান > কামলা /দিনমজুর
ধুতি > শাড়ী
অইত > রোদ
ওষুক > রোগ/অসুস্হ
সগায় > সবাই
টক করি আইসো > তারাতারি আসো।
আন্দাধুন > অযথা
বেহুদ্দা > যার কথার দাম নেই
উদুরভুঁসা > কান্ডজ্ঞানহীন পুরুষ।
ছুট > প্যান্ট
কাঁয় কইল > কে বলছে
নিত্যাও/দিনাঙ > প্রতিদিন
য়্যালায় > এখন
খাইম > খাবো
আঁও > কথা
ফাসার ফুসুর > আস্তে আস্তে কথা বলা বলা, যেন কেউ শুনতে পায়না।
চর্চাঃ- মুই আজ তোমার গুলাক কঙ, তোমরাগুলা ভাল করি শোনো মোর কথাকোনা। আসল কথা হইলো "হামার রংপুর, হামার ভাষা, হামার মান"। কারো মান হারাইলে কি হয়? ঐ লোকটা সমাজোত পচি যায়। কাও আর অকে দ্যাকিরে নাপায়। রংপুরের ভাষা হামার মান, হামরা কাও মান হারামো না। রংপুরের মানুষ রংপুরিয়া ভাষায় আও করমো। হ্যাঁ চলার ক্ষেত্রে কিছু জায়গায় সাধু ভাষা বলতে হয়। তাই বলে আমরা যদি বাড়িতে গিন্নিকে বলি ঃ- কি পত্নি সাহেবান আপনার কি রান্নাবান্নার কাজ সম্পূর্ণ হইয়াছে। হইছে তাহই্লে হামারা সগায় টেডি-বাবু হয়া গেইনো যে।
রংপুরের ছাওয়ার ঘর শোনওঃ-
রংপুরিয়া ভাষায় কথাকমো
নিজের মান ধরিথোমো।
হালিচা:
মিজানুর রহমান