গাভুর চেঙ্গেরির খেদ —কলীন্দ্রনাথ বর্মণ

গাভুর চেঙ্গেরির খেদ
কলীন্দ্রনাথ বর্মণ

মাের নিরাশীটার অনুরাগে তনু কানদে ,
হােকোর জিউটা মাের বাঁওএ না বাধে
বানার জলের মত মনটা হইচে সচকার ,
কণেকও বাধিয়া রাখা না যায় আর।।
লােকে যেমন ময়না পুষে পিঞ্জিরায় ভরিয়া , 
ঐ মত নারীর যৌবন রাখিছু মুই বান্ধিয়া ।
রস যাছে , বয়স যাছে , যৌবন হছে দূর
আর কত দিনে পিন্ধিম কপালত সিন্দুর।
হায়রে মাের পােড়া কপাল বিধি হৈছে বাম
মুই অভাগিনীটা কতদিনে শ্বশুরবাড়ী যাম।
হামারও দেশটাত আইচ্ছে দখিনা বাতাস ,
বাতাস দেখিয়া দিল নাগেছে হাতাশ।
কঠিন শােষণত পড়ি বাপ মাের হৈছে হাউরিয়া ,
বাপ মাের পাজির খেও ফেলাইছে আউলিয়া।
কোনঠে পাবে সাইকেল , কোনঠে পাবে ঘড়ি ,
এই চাহেছে চেঙ্গেরালা শিখিয়া লেখাপড়ি ।।
তুইরে চেঙ্গেরা আজ না বুঝিবাে , বুঝিবাে কাইল ,
হাত ধরিয়া পার করাবে যেলা বড় বড় আইল।
তুইরে চেঙ্গেরা যেলা হবাে দুই তিন বেটির বাপ ,
এইটা ঢং সমাজত্ ঢুকালে তােক কায় করিবে মাপ।
কয়দিন পাছত মিটিবে তাের শুংশুংগানি ,
সমাজের করিবাে হানি চোখের ফেলাবাে পানি।
একটা চেঙ্গেরিক করির যদি না পারিস উদ্ধার ,
বি. এ. পাশ করিয়া সমাজের কি হােবে উপকার ?
হিনং আই. এ, বি. এ পাশক না কর মুই নমস্কার ,
যার দিলত কনেকও দিলদরিয়া নাই যার।।
ক্ষত্রিয়ের ছাওয়া তুই না করিস সেলেকপেচেক ,
মহাভারতকেনা তুই চোখ দুইটা মেলিয়া দেখেক।


Post a Comment

Previous Post Next Post